দোহারে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিতরন করা খাবারে বিষক্রিয়া,আক্রান্ত শতাধিক

মাহবুবুর রহমান টিপু,দোহার(ঢাকা)প্রতিনিধি:

দোহারে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিতরন করা খাবারে বিষক্রিয়া থাকাতে গত সোমবার রাত ১১ থেকে মাঝরাত পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের সদস্যসহ চিকিৎসা নিতে এসেছেন।এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা.মো.বিল্লাল হোসেন অসুস্থ্য রোগীদের খোজঁ-খবর নিতে পরিদর্শন করেন।
দোহার উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভুমি)জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র  জানান,সোমবার রাত্রেই ইউএনও আফরোজা রিবাকে স্যারকে নিয়ে উপজেলার আরোও প্রাইভেট হাসপাতালগুলিতে খোজঁ নিয়ে জানতে পারি সেখানে অনেকেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।বিষয়টি রাতেই উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার করা খাবারের আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রেরন প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে।
জানা যায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার দুপুরে উপজেলার ৫৬৬ জন মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেন উপজেলা প্রশাসন।এ সময়ে বিতরন করা খাবার খেয়ে রাত্র থেকেই বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা বমি ও প্রচন্ড পেট ব্যাথা অনভব করে হাসপাতালে ছুটে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকের আপ্রান চেষ্ঠায় এর মধ্যে প্রায় শতাধিক অসুস্থ্যদের চিকিৎসা প্রদান করেন দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা বলে জানান,উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা.মো.জমিস উদ্দিন।
এ বিষয়ে দোহারের ইউএনও আফরোজা রিবা জানান,মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উন্নতমানের খাবারের অর্থ ঢাকা-১ আসনের সাংসদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্ঠা সালমান এফ রহমান স্যারের সহযোগীতায় হয়েছিলো।উক্ত বরাদ্ধকৃত অর্থ মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের হাতে দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের কোন ঘাটতি নাই।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা.মো.বিল্লাল হোসেন  জানান,আক্রান্তদের সবাই চিকিৎসা সেবা পেয়ে সুস্থ্য হওয়াতে মঙ্গলবার সবাইকে রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে।শুধু একজনকে এখন ভর্তি রাখা হয়েছে।খাবারের আলামত সংগ্রহ করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় (আইপিএস)ইনষ্ট্রিউট অফ পাবলিক হেলথ পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর হোসেন জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের অনেকেই অসুস্থ হয়েছে।বিষয়টিতে কঠোর মনিটরিং চলছে। আমরা সবাইকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পরামর্শ দিতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। তবে তাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা একজনের চিকিৎসা চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন